বিজ্ঞাপন
রোববার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে র্যাবের কাছ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নোয়াখালী কার্যালয়ের তদন্ত টিমের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, আলমগীর হোসেন নামে-বেনামে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ব্যাংকের দুটি শাখা থেকে ৯ কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাত করেছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, অধিকাংশ ঋণ গ্রাহক বাস্তবে অস্তিত্বহীন, এবং ভুয়া এনআইডি ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তাদের নামে ঋণ তোলা হয়েছে।
দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের ২০ অক্টোবরের অভিযানে ব্যাংকের রেকর্ডপত্র যাচাই করা হলে অসংখ্য অনিয়ম ও জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যায়। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তেও এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হয়েছে। এ ঘটনায় নোয়াখালী স্পেশাল সিনিয়র জজ আদালতে দুদকের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুদক নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বলেন, “ব্যাংকের দুটি শাখা থেকে ৯ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগে আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। র্যাবের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর নোয়াখালীর উপপরিচালক ও জেলা কমান্ড্যান্ট মো. সুজন মিয়া বলেন, “আমাদের বিভিন্ন সদস্যদের নামে ঋণ দেখিয়ে আলমগীর হোসেন অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এটি দুদক ও ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...