Logo Logo

শিক্ষক পদসোপান আন্দোলন

টুঙ্গিপাড়ার দুই বিদ্যালয়ে এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা স্থগিত


Splash Image

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শিক্ষক পদসোপান (ক্যাডার) বাস্তবায়নের দাবিতে চলমান আন্দোলনের কারণে দুটি বিদ্যালয়ে এসএসসি নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।


বিজ্ঞাপন


সোমবার (১ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং জিটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নির্ধারিত বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়।

বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের ৯ম গ্রেডভিত্তিক পদসোপান বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করায় আজকের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে দুই বিদ্যালয়ের মোট প্রায় ৬০০ পরীক্ষার্থী পরীক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিলকিস খানম বলেন, “সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদসোপান নিয়ে দীর্ঘদিনের বঞ্চনা রয়েছে। চার দফা দাবির যৌথ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আশা করি সরকার দ্রুত আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবে।”

জিটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শরীফ মোরেজ আলী মনে করেন, শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিতে বিলম্ব শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, “দ্রুত পদসোপান বাস্তবায়ন না হলে শিক্ষার মান ও বিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা তাদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হোক।”

পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম উদ্বেগ। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী মেহজাবিন আক্তার নিঝুম বলে, “আজ আমাদের বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। সবাই খুব চিন্তায় আছি। আগামীকাল পরীক্ষা হবে কিনা তাও জানি না।”

একজন অভিভাবক মিতা খানম বলেন, “শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে পরীক্ষা দেওয়ার অধিকার হারাচ্ছে। আশা করি শিক্ষকদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”

অন্যদিকে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানিয়েছে, সারাদেশে বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষা নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। বার্ষিক পরীক্ষা চলছে ২০ নভেম্বর–৭ ডিসেম্বর, নির্বাচনী পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর–১১ ডিসেম্বর, এবং জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২৮–৩১ ডিসেম্বর। পরীক্ষার সময় কোনো ধরনের শৈথিল্য বা অনিয়ম ধরা পড়লে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা দ্রুত সংকট সমাধান এবং শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক ফিরবে—এমন আশার কথা জানিয়েছেন। শিক্ষকরা জানান, পদসোপানসহ যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে শিক্ষাব্যবস্থা আবার স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসবে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...