বিজ্ঞাপন
এসব প্রকল্পের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৪৫১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে ৫ হাজার ৬০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৭৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে—চট্টগ্রাম অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন, মানসম্পন্ন আলু বীজ উৎপাদন–সংরক্ষণ ও কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ, গ্যাসের তিনটি অনুসন্ধান কূপ খনন এবং মিরপুরে জুলাই শহীদ পরিবারের জন্য ১,৫৬০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প।
এ ছাড়া জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব জমিতে ৩৬ জুলাই আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ, সচিবালয়–পরিবহণ পুল–মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্ট ও সচিব নিবাসের অগ্নিনিরাপত্তা জোরদারকরণ, সিরাজগঞ্জ–রায়গঞ্জ জেলা মহাসড়ককে যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্পও অনুমোদিত হয়েছে।
অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে—নারায়ণগঞ্জ গ্রিন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, অটিজম ও এনডিডি সেবা সম্প্রসারণ, জাপান হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ, ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবনী ইকো–সিস্টেম উন্নয়ন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ও গবেষণাগার উন্নয়ন, ক্লাইমেট রেসপনসিভ রিপ্রডাকটিভ হেলথ অ্যান্ড পপুলেশন সার্ভিস প্রকল্প, এসেনসিয়াল অ্যান্ড বায়োটেক রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর–ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর–কমিউনিটি ক্লিনিক উন্নয়ন এবং সোনাগাজী ২২০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানান, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও একনেক ও মন্ত্রিপরিষদ সভা নিয়মিত চলবে। তবে একনেকে উপস্থাপন করা হলেও সচিবালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ এবং স্বাস্থ্য খাতের একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়নি; দুটি প্রকল্পই আরও পর্যালোচনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “শোনা যায় এখনো দুর্নীতি কমেনি। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠিকাদার–সংক্রান্ত দুর্নীতির সুযোগ এবার তেমন পাওয়া যায়নি।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...