বিজ্ঞাপন
এসব স্থাপনা নির্মাণের ফলে রথী গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সংকীর্ণ হয়ে গেছে; শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি টয়লেটের দুর্গন্ধে স্কুল ও আশপাশের এলাকার পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, চাষির হাট ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াতের একমাত্র সংযোগ সড়ক হলো রথী সড়ক। প্রতিদিন শত শত মানুষ এবং হালকা–ভারী যানবাহন চলাচল করে এ পথ দিয়ে। অথচ ২০২৪ সালের দিকে স্থানীয় এক প্রভাবশালী মহল রাস্তা দখল করে টয়লেটসহ স্থাপনা নির্মাণ করে। এর ফলে জনসাধারণ এখন বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ের মাঠের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বিকল্প পথ ব্যবহার করছে। ফলে স্কুল মাঠের আকার ছোট হয়ে গেছে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষিকা রাস্তা দখল ও টয়লেট নির্মাণের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে বিভাগীয় কমিশনার বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে সোনাইমুড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীনা আন জান্নাত টয়লেটসহ স্থাপনাগুলো রাস্তার ওপর নির্মিত হয়েছে উল্লেখ করে দখলদারদের উদ্দেশে ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিজ দায়িত্বে অপসারণের নোটিশ জারি করেন। নোটিশ অমান্য করায় ৮ ফেব্রুয়ারি এএসসি (ল্যান্ড) উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। সে সময় দখলকারীরা ১৫ দিনের মধ্যে নিজ খরচে স্থাপনা অপসারণ করবে বলে মুচলেকা দিলেও দীর্ঘ নয় মাসেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
ফলে রথী গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম এবং জনসাধারণের চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তি তৈরী হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রহস্যজনক কারণে এখনো পর্যন্ত টয়লেটটি উচ্ছেদ করা হয়নি।
ভুক্তভোগীরা দ্রুত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে রাস্তা পুনরুদ্ধার ও বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...