বিজ্ঞাপন
রবিবার (০১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা–কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের চালাকচর ইউনিয়নের চেঙ্গাইন এলাকায় এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আমির হামজা কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার নারান্দী গ্রামের এনামুল হকের ছেলে। স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের কেজি ওয়ান-এর শিক্ষার্থী ছিল সে। ছোট্ট বয়সেই পড়াশোনায় মনোযোগী আমিরকে নিয়ে পরিবারে ছিল হাজার স্বপ্ন—সবই নিভে গেল এক মুহূর্তের অসচেতনতায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আমিরের বাবা একটি বেসরকারি কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে চাকরি করেন। কর্মসূত্রে তিনি পরিবার নিয়ে চালাকচর ইউনিয়নের চেঙ্গাইন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আমির প্রতিদিনের মতো স্কুলের পোশাক পরে বাসা থেকে বের হয়। চেঙ্গাইন এলাকার জাবালে নুর জামে মসজিদের সামনে এসে সড়ক পার হওয়ার সময় চালাকচরমুখী একটি অজ্ঞাত প্রাইভেটকার তাকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। হঠাৎ আঘাতে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশু আমির।
মনোহরদী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। প্রাইভেটকারটি শনাক্ত ও চালককে গ্রেপ্তারের জন্য আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
শিশু আমিরের আকস্মিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারে চলছে মাতম— সকালবেলার স্কুলযাত্রাই হয়ে উঠল তার জীবনের শেষ পথচলা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...