বিজ্ঞাপন
দেশের উত্তরাঞ্চলের মধ্যে কুড়িগ্রামেই শীতের কামড় সবচেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে। প্রতিদিন তাপমাত্রা কিছুটা করে কমছে। ঘন কুয়াশা, কনকনে ঠান্ডা ও উত্তরের বাতাসে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের দৈনন্দিন জীবন আরও কঠিন হয়ে উঠেছে।
যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঘোড়া গাড়িচালক মো. আব্বাস উদ্দিন বলেন, “দিন দিন শীত বাড়ছে। কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে গাড়ি চালানো খুব কষ্টকর হয়ে গেছে। হাত-পা বরফ হয়ে আসে।”
পাঁচগাছি ইউনিয়নের কৃষিশ্রমিক আব্দুল জব্বার (৫৫) জানান, “এখন আমন ধানের কাজের সময়। সকাল বেলায় শীত খুব তীব্র থাকে। কিন্তু কাজ না করলে চলবে না, তাই বাধ্য হয়ে মাঠে নামছি।”
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন জানান, জেলার ৯টি উপজেলায় শীতার্তদের জন্য ৬ লাখ করে মোট ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই বরাদ্দ থেকে কম্বল কেনা হচ্ছে এবং তালিকা অনুযায়ী শিগগিরই বিতরণ শুরু হবে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, মঙ্গলবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা শীতের তীব্রতা আরও বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...