Logo Logo

দূর্গম ছোট আগলায় বিজিবির অর্থায়নে নতুন বিদ্যালয়


Splash Image

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা ইউনিয়নের দুর্গম ছোট আগলা পাড়ায় শিক্ষার নতুন আলো ছড়ালো বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।


বিজ্ঞাপন


সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি মানবিক সেবা, শিক্ষা উন্নয়ন ও জীবনমান বৃদ্ধি—এ তিন লক্ষ্য সামনে রেখে রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ ব্যাটালিয়নের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত ছোট আগলাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় উদ্বোধন করেন। গত ২৫ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে ছোট আগলা বিওপি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে গ্রামটির কারবারায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এলাকাবাসীর স্বপ্নপূরণ হয়।

দূর্গম পার্বত্য অঞ্চলের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষা ছিল দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। বিজিবির এই উদ্যোগ সেই প্রত্যাশায় নতুন জীবন দিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী ও ছোট আগলা বিওপি’র সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

স্কুলের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য রামু ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক স্থানীয় কারবারীর নিকট নগদ অর্থ হস্তান্তর করেন। একই সঙ্গে স্কুল পরিচালনার সহায়ক সামগ্রী—ব্ল্যাকবোর্ড, চক, ডাস্টারসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ সরবরাহের উদ্যোগও প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান তিনি।

উদ্বোধন শেষে বিজিবি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, “অপারেশন উত্তরণ”-এর অংশ হিসেবে বহু বছর ধরে বিজিবি শুধু সীমান্ত রক্ষাই করছে না, বরং পাহাড়ি জনপদের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে চিকিৎসা সেবা, আর্থিক সহায়তা, খাদ্য বিতরণ, শীতবস্ত্র প্রদান এবং দুর্যোগে ত্রাণ সহায়তাসহ নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করছে।

তিনি আরও বলেন, এসব কার্যক্রম পাহাড়ি ও বাঙালি জনগোষ্ঠীর পারস্পরিক সম্প্রীতি ও আস্থা শক্তিশালী করেছে।

মতবিনিময় সভায় স্থানীয় কারবারী, অভিভাবক, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিজিবির মানবিক উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং ছোট আগলায় প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ হওয়ায় গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগব্যবস্থার বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরলে অধিনায়ক প্রতিটি বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

স্থানীয়রা জানান, এ বিদ্যালয় শুধু শিক্ষার সুযোগই সৃষ্টি করেনি; বরং এতে দীর্ঘদিন অবহেলিত একটি জনপদে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।

প্রতিবেদক- মোহাম্মদ শাহজাহান, কক্সবাজার।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...