বিজ্ঞাপন
জানকিপুর দিকপাড়া গ্রামের এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন—কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন বসাক তার কাছ থেকে ৭,৫০০ টাকা নিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তার নাম ভিজিডি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় তিনি টাকা ফেরত চাইলে মেম্বার টালবাহানা করতে থাকেন এবং অর্থ ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান।
ভুক্তভোগীর দাবি, কয়েক মাস পর মোয়াজ্জেম হোসেন তাকে ফোনে জানান যে তার নাম ভিজিডি তালিকায় উঠেছে এবং তিনি চাল পাবেন। কিন্তু এরপর ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য আশরাফুল আবারো ফোন করে কার্ড নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত ৫,০০০ টাকা দাবি করেন।
ভুক্তভোগী বলেন, “আগে নেওয়া ৭,৫০০ টাকার কোনো সমাধান হয়নি, কার্ডও দেওয়া হয়নি। এরপরও তারা বাড়তি টাকা চাইছে।”
এদিকে ইউনিয়নে ভিজিডির চাল বিতরণ শুরু হলেও ভুক্তভোগীর হাতে কোনো কার্ড দেয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ জানানো হলে ইউনিয়ন প্রশাসক রাফিউজ্জামান বলেন, “আমি অভিযোগ পেয়েছি। ভিজিডি তালিকায় নাম আছে কিনা যাচাই করবো। যদি নাম থাকে, অবশ্যই চাল দেওয়া হবে এবং কার্ড উদ্ধার করার ব্যবস্থা করা হবে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন বসাক বলেন, “আমি কোনো টাকা গ্রহণ করিনি। এটি সাজানো নাটক। আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডকে কেন্দ্র করে অনিয়ম, প্রতারণা ও টাকা লেনদেনের ঘটনা নতুন নয়। এসব ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বড় ধরনের হতাশা ও অবিশ্বাস তৈরি হচ্ছে।
ইউনিয়ন প্রশাসক ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন। ভুক্তভোগীর অভিযোগ যাচাই শেষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...