বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
এর আগে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। তারা সবাই খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন। একই রাতে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানও হাসপাতালে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের খোঁজখবর নেন।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন। করোনাকালের ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে শর্তসাপেক্ষে তার দণ্ড স্থগিত করা হয় এবং ছয় মাস অন্তর দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানের পর তিনি মুক্তি পান। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেয়ে ১১৭ দিন অবস্থান করার পর ৬ মে দেশে ফেরেন।
নিয়মিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে কয়েকবার হাসপাতালে নেওয়ার পর সর্বশেষ ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ হোসেনসহ দলের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...