বিজ্ঞাপন
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনে রাস্তায় সারিবদ্ধ হয়ে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শতাধিক সহকারী শিক্ষক।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির সুযোগ বৃদ্ধি, কাজের পরিবেশ উন্নয়নসহ তিন দফা মূল দাবি উপস্থাপন করেন। দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে কোনো বাস্তবসম্মত সমাধান না পাওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
বক্তারা বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকরা সবচেয়ে নিকটতম ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু নানা বৈষম্য ও সুযোগ-সুবিধা বঞ্চনার কারণে তারা মানসিকভাবে চাপে থাকেন, যা শিক্ষার সার্বিক মানকে বাধাগ্রস্ত করে। অবিলম্বে সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা অভিযোগ করেন, একই অবস্থানে থেকে বছর বছর চাকরি করলেও বেতন-গ্রেড এবং পদোন্নতিতে সহকারী শিক্ষকরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। তারা বলেন, “আমরা মানসম্মত শিক্ষা দিতে চাই, কিন্তু নিজেরাই যদি বৈষম্যের শিকার হই, তাহলে মনোবল ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়।”
এ সময় মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শান্তিপূর্ণভাবে প্ল্যাকার্ড হাতে অংশ নেন। পরে একটি প্রতিনিধি দল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করার উদ্যোগ নেয়।
শিক্ষকরা আশা প্রকাশ করেন, সরকার দ্রুত তাদের সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে, যাতে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম আরও সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে যেতে পারে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...