ছবি : সংগৃহিত
বিজ্ঞাপন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাপ্লিমেন্টের দিকে দৌড় না দিয়ে শীতের কিছু বিশেষ সবজি নিয়মিত খেলে স্বাভাবিকভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই সব সবজি সম্পর্কে-
গাজর
শীতকালের জনপ্রিয় সবজিগুলোর মধ্যে গাজর অন্যতম। এতে আছে প্রাকৃতিক বিটা–ক্যারোটিন, যা শরীরে প্রবেশ করে ভিটামিন–এ-তে রূপ নেয়। ভিটামিন–এ শ্বাসযন্ত্রকে সুরক্ষা দেয় এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরক্ষা স্তরকে শক্তিশালী করে।
পালং শাক
পালং শাক শীতের অবিচ্ছেদ্য একটি পুষ্টিকর শাক। এতে রয়েছে আয়রন, ফোলেট, ভিটামিন–সি এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্ত শক্তিশালী করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই শাক নিয়মিত খেলে শরীরে শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে শরীর সহজেই ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য রোগজীবাণুর আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে।
ফুলকপি
ফুলকপি দেখতে সাধারণ হলেও এর ভেতরে লুকিয়ে আছে ভিটামিন–সি, কোলিন এবং নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জাদুকরী সমন্বয়। এগুলো শরীরকে ডিটক্স করার পাশাপাশি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তরকারি, পরোটা বা স্যুপ যেভাবেই খান না কেন, শীতের এই সবজি শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
মটরশুঁটি
ছোট দানাদার মটরশুঁটি পুষ্টিতে ভরপুর। এতে আছে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, পর্যাপ্ত ভিটামিন–কে, ভিটামিন–সি এবং ফাইবার। মটরশুঁটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই উন্নত হয়। শীতের খাদ্যতালিকায় তাই মটরশুঁটি রাখা অবশ্যই উচিত।
ব্রকলি
শীতকালে ক্রুসিফেরাস সবজির মধ্যে ব্রকলি বিশেষভাবে উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন–সি, ভিটামিন–কে, আঁশ এবং সালফোরাফেন নামের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গবেষণা বলছে, ব্রকলি নিয়মিত খেলে সাধারণ ঠান্ডা–জ্বর বা মৌসুমী সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য ব্রকলি হালকা ভাপে রান্না করাই সবচেয়ে ভালো।
এ শীতকালীন সবজিগুলো নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা জোরদার হবে এবং ঠান্ডাজনিত নানা সমস্যার ঝুঁকিও কমবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...