বিজ্ঞাপন
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বাকেরগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাঁচতলা একাডেমিক ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ সতর্ক বার্তা দেন।
জানা গেছে, এ বছর গারুরিয়া ইউনিয়নের সাহেবপুর মদিনাতুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসা ও দেউলী মোহাম্মদীয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে অংশ নেওয়া কোনো পরীক্ষার্থীই আলিম পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। দেশের আরও ২৫টি মাদ্রাসায় শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হলেও সচিবের নিজ উপজেলা বাকেরগঞ্জের দুটি প্রতিষ্ঠান সেই তালিকায় পড়ে বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছে।
শিক্ষক-কর্মচারীদের উদ্দেশে সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, “আপনাদের কাছে জাতি প্রত্যাশা করে দক্ষ মানবসম্পদ। দেশের সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ২৫ জন শিক্ষক মিলেও যদি ৭ জন শিক্ষার্থীকে পাস করাতে না পারেন, তবে তা অগ্রহণযোগ্য।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আপনারা বেতন নিচ্ছেন, আর বিনিময়ে জাতিকে দিচ্ছেন অশ্বডিম। জনগণের টাকা খেয়ে যদি শূন্য ফলাফল দেন, তাহলে ধরে নেব আপনারা কাজে ফাঁকি দিচ্ছেন। ভবিষ্যতে এমন হলে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব।”
সচিব হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আগামীতে এই দুটি মাদ্রাসার শিক্ষার মান উন্নত না হলে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
বাকেরগঞ্জের দুই আলিম মাদ্রাসার শূন্য ফলাফলকে কেন্দ্র করে সচিবের এমন সরাসরি বক্তব্য শিক্ষা মানোন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের ওপর চাপ বাড়াবে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
প্রতিবেদক- মোঃ জাহিদুল ইসলাম, বরিশাল।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...