বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগীদের দাবি, সরকারি উদ্যোগে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে ঋণ প্রদানের কথা থাকলেও বাস্তবে প্রক্রিয়াটি জটিল করে তোলা হয়। ঋণ উত্তোলনের জন্য তাদেরকে বারবার অফিসে যেতে হয়েছে, বিভিন্ন কাগজপত্র পূরণ করাতে হয়েছে এবং প্রশাসনিক ঝামেলার কথা বলে সময় নষ্ট করা হয়েছে। এছাড়া স্ট্যাম্প, পরিচয়পত্র যাচাই, স্লিপ লেখাসহ নানা খাত দেখিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১,৬০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।
আনিকা বেগম বলেন, "ঋণ তুলতে গেলে আমাদের বারবার অফিসে যেতে হয়েছে। প্রতিটি ধাপে অতিরিক্ত খরচ দিতে হয়েছে। বিভিন্ন কাগজপত্র পূরণ করতেও চাপ দেওয়া হয়েছে।"
তাহমিনা খাতুন ও স্বর্ণা আক্তারও একই অভিযোগ করে জানান, এই প্রক্রিয়ায় তাদের সময়, শ্রম এবং মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, "অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। যদি এমন অভিযোগ প্রমাণ হয়, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
অন্যদিকে সহকারী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এ কে এম আছির উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রতিষ্ঠানিক মিলিয়ে মোট ২০ জনকে ঋণ দিয়েছি। করা অভিযোগগুলো সত্য নয়।"
ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন, ঋণ উত্তোলনের নামে যে জটিলতা সৃষ্টি করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়েছে—তা তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...