ইনসেটে প্রধান শিক্ষক শংকর সাহা।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী আরিফুল শেখ (২৫) বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, ২০২৩ সালে বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সহ কয়েকটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে তিনি স্থানীয় কয়েকজন মুরব্বির সহযোগিতায় প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
“চাকরির জন্য প্রথমে ৫ লাখ টাকা চাওয়া হয়। একদিন পর দুই লাখ টাকা দুইজন সাক্ষীর মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক গ্রহণ করেন। নিয়োগ স্থগিত হওয়ার পর টাকা ফেরত চাইলে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বর্তমানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভয় দেখান,” অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় মুরব্বি ফেরদৌস আলম, যিনি আরিফুলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, বলেন, “আমরা এবং আরেকজন মুরব্বি হাফিজ শিকদারের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক নগদ দুই লাখ টাকা গ্রহণ করেন। নিয়োগ স্থগিত হওয়ার পর নানা ধরনের হুমকি ও বাধা সৃষ্টি করেন।” তিনি আরও জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান ও পরিবেশ বজায় রাখতে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ জরুরি।
অভিযোগের জবাবে প্রধান শিক্ষক শংকর সাহা জানান, “আমি আরিফুলকে ছাত্র হিসেবে চিনি। কিন্তু চাকরির জন্য কোন টাকা নেওয়া হয়নি। নিয়োগ তৎকালীন সভাপতির সময় না দেওয়ায় তিনবার চেষ্টা করেও সম্পন্ন করতে পারিনি। কাউকে ভয় দেখানো হয়নি।”
টুঙ্গিপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বর্তমান বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আল-আমিন হালদার বলেন, “লিখিত অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। যদি প্রধান শিক্ষক কাউকে প্রশাসনিকভাবে ভয় দেখিয়ে থাকে, এটি অপরাধ। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনা বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও শিক্ষার পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...