গ্রাফিক্স : ভোরের বাণী।
বিজ্ঞাপন
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, জার্মানভিত্তিক এফএআই এভিয়েশন গ্রুপের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি মঙ্গলবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ঢাকায় নামবে। প্রয়োজন হলে একই দিন রাত ৯টার পর এটি লন্ডনের উদ্দেশে উড়াল দিতে প্রস্তুত থাকবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একটি সূত্র জানায়, গত শনিবার জমা দেওয়া আবেদনে মঙ্গলবার ঢাকায় অবতরণ এবং পরদিন বুধবার লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রার সময়সূচি দেওয়া হয়েছিল।
তবে খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে তার বর্তমান শারীরিক অবস্থার ওপর। ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জে এম জাহিদ হোসেন আগেই জানিয়েছেন, শারীরিক অবস্থার অগ্রগতির ওপরই নির্ধারিত হবে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন কি না।
গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। চিকিৎসা ও বিদেশযাত্রা-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সূত্র জানায়, দীর্ঘ যাত্রার সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় চিকিৎসকেরা বিদেশ পাঠানোর সম্ভাব্য সময় আরও দুদিন পিছিয়ে দিয়েছেন। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনের ওপরই এখন পুরো সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে।
সূত্রটি জানায়, রবিবার রাত পর্যন্ত খালেদা জিয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি বা অবনতি—কোনো পরিবর্তনই দেখা যায়নি; সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলেও ঝুঁকি রয়ে গেছে।
মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরেকটি সূত্র জানায়, তার ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুস–সংক্রান্ত জটিলতাগুলো কখনো নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হঠাৎই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে তাকে স্থিতিশীল বলা যাচ্ছে না। সর্বশেষ পরীক্ষায় কিডনি ও ফুসফুসের কিছুটা উন্নতি দেখা দিলেও চিকিৎসকদের মতে তা সামগ্রিক ঝুঁকি কমানোর জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি এখনও আশঙ্কামুক্ত নন।
তার অনিশ্চিত শারীরিক অবস্থার কারণে বিদেশযাত্রার সম্ভাব্য সময়সূচি বারবার বদলাচ্ছে। বিএনপি প্রথমে জানায়, ৫ ডিসেম্বর ভোরে তাকে লন্ডনে নেওয়া হবে। পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করে ৭ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। এরপর নতুন সূচিতে ৯ ডিসেম্বর যাত্রার সম্ভাবনার কথা জানানো হলেও আবারও স্বাস্থ্যগত অনিশ্চয়তার কারণে তা পিছিয়ে যায়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...