বিজ্ঞাপন
নিহত নাফিসা মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, “মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোডের সপ্তম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে মা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাসার গৃহপরিচারিকাকে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার নাম–পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।”
এসি মামুন আরও জানান, সকালে গৃহকর্তা আজিজুল ইসলাম কর্মস্থলে বের হয়ে যান। পরে দুপুর ১২টার দিকে বাসায় ফিরে তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। মেয়ে নাফিসাকে তখনও জীবিত পাওয়া গেলেও হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরপরই থানার পুলিশ ও তেজগাঁও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, পলাতক গৃহকর্মীর নাম আয়েশা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে সে পালিয়ে যায়। পুলিশ ইতোমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এছাড়া বাথরুমের একটি বালতির ভেতর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দুটি ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের কারণ উদ্ঘাটনে কাজ করছে এবং পলাতক গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...