ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০টায় ট্রাইব্যুনাল-২–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের সামনে উপস্থিত হন তিনি। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। এদিন বেরোবির সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ মোট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন হাসনাত।
এ মামলার ৩০ আসামির মধ্যে বর্তমানে ছয়জন গ্রেপ্তার অবস্থায় রয়েছেন। তারা হলেন— এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল এবং আনোয়ার পারভেজ। আজ সকালে কারাগার থেকে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এর আগে ২৭ নভেম্বর টানা ১৮তম দিনের মতো ২১ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন হিসেবে আজকের তারিখ নির্ধারণ করে ট্রাইব্যুনাল। ২৪ নভেম্বর এক পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের কথা থাকলেও বিশেষ কারণে তা স্থগিত করা হয়। ২৩ নভেম্বর সাক্ষ্য দেন আবু সাঈদকে হাসপাতালে নেওয়া এক শিক্ষার্থী, যিনি জানান— মৃত ঘোষণার পর পথে পুলিশ তার লাশ নিয়ে যায়। পরে তাকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন।
১৮ নভেম্বর সাক্ষ্য দেন শিক্ষার্থী শান-এ রওনক বসুনিয়া। ১৬ নভেম্বর মিঠাপুকুর থানার ওসি মো. নূরে আলম সিদ্দিক ১৭ নম্বর সাক্ষী হিসেবে ঘটনার পূর্ণ বিবরণ দেন। ১৩ নভেম্বর প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জবানবন্দি দেন পুলিশের নায়েক আবু বকর সিদ্দিক। ১২ নভেম্বর সাক্ষ্য দেন এসআই (সশস্ত্র) মো. আশরাফুল ইসলাম, যিনি জানান— রংপুর কোতোয়ালি জোনের তৎকালীন এএসপি আরিফুজ্জামান ও তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলামের নির্দেশে চালানো গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হন।
১১ নভেম্বর জবানবন্দি দেন কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারী ইমরান আহমেদ। ১০ নভেম্বর সাক্ষ্য দেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও বেরোবির শিক্ষার্থী আকিব রেজা খান। এর আগে ৪ নভেম্বর, ২১ ও ১৩ অক্টোবর টানা তিনদিন সাক্ষী হাজির না করায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে যায়।
৬ অক্টোবর নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে পুলিশের দুই এসআই— রফিক ও রায়হানুল রাজ দুলাল— জবানবন্দি দেন। এরও আগে ২৮ আগস্ট আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন ও সাংবাদিক মঈনুল হকের সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।
চলতি বছরের ২৭ আগস্ট চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। তবে সাবেক ভিসিসহ ২৪ আসামি এখনও পলাতক। তাদের পক্ষে ২২ জুলাই রাষ্ট্রীয় খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। ৩০ জুলাই পলাতক পাঁচ আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মামুনুর রশীদ। আরও শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলাম।
২৮ ও ২৯ জুলাই গ্রেপ্তার তিন আসামির পক্ষে পৃথকভাবে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ৩০ জুন অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল এবং ২৪ জুন দাখিল করা হয় তদন্ত প্রতিবেদনের কপি। এ মামলায় মোট ৬২ জন সাক্ষী রয়েছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...