Logo Logo

রোকেয়া পদক পাচ্ছেন দেশের চার বিশিষ্ট নারী

আজ বেগম রোকেয়া দিবস


Splash Image

আজ ৯ ডিসেম্বর, বেগম রোকেয়া দিবস। বাঙালি সমাজে নারী জাগরণ, শিক্ষা বিস্তার ও সামাজিক সংস্কারে অনন্য অবদান রাখা পথিকৃত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুদিন আজই। ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দ গ্রামে জমিদার পরিবারে তার জন্ম; একই দিনে ১৯৩২ সালে তিনি পরলোকগমন করেন। তার স্মৃতিকে সম্মান জানাতে দিনটি প্রতি বছর রাষ্ট্রীয়ভাবে বেগম রোকেয়া দিবস হিসেবে পালন করা হয়।


বিজ্ঞাপন


দিবসটি উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। প্রতি বছরের মতো এবারও নারীশিক্ষা, মানবাধিকার, নারী অধিকার ও নারী জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চার বিশিষ্ট নারীকে প্রদান করা হবে রোকেয়া পদক।

এবার পদক পেতে যাচ্ছেন নারীশিক্ষা শ্রেণিতে (গবেষণা) রুভানা রাকিব, নারী অধিকার শ্রেণিতে (শ্রম অধিকার) কল্পনা আক্তার, মানবাধিকার শ্রেণিতে নাবিলা ইদ্রিস ও নারী জাগরণ শ্রেণিতে (ক্রীড়া) ঋতুপর্ণা চাকমা।

আজ সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত আনুষ্ঠানিকতায় চারজনের হাতে রোকেয়া পদক তুলে দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আমি এই মহীয়সী নারীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। উনবিংশ শতাব্দীর রক্ষণশীল সমাজে নারীর উন্নয়নের প্রধান উপায় ছিল শিক্ষা—এ উপলব্ধি থেকেই বেগম রোকেয়া যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা আজও আমাদের নারীর ক্ষমতায়নের পথে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।”

বেগম রোকেয়ার সাহিত্যকর্ম নারী জাগরণের ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ১৯০৫ সালে প্রকাশিত তার ইংরেজি গ্রন্থ ‘Sultana’s Dreams’—যা পরে বাংলায় ‘সুলতানার স্বপ্ন’ নামে প্রকাশিত হয়—বিশ্ব নারী জাগরণমূলক সাহিত্যর অন্যতম দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত। গ্রন্থটি ইউনেসকোর ‘ওয়ার্ল্ড মেমোরি’ তালিকায় স্থান পেয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে।

২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে স্থান করে নেন এই অগ্রদূত। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনা হলো মতিচূর, পদ্মরাগ, অবরোধবাসিনী প্রভৃতি।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...