নিহত ফখরুল ইসলাম মন্জু ওরফে ‘বলি’।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ বারী। একই দিন সকালে থানায় হত্যাকাণ্ডটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। এর আগে গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মান্দার বাড়ির দরজায় এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।
নিহত ফখরুলের বাবা বদিউজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে ৮ জনকে নাম উল্লেখ এবং আরও ৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলাটি বেগমগঞ্জ থানায় মামলা নং-৮ হিসেবে রুজু হয়েছে।
নিহত বলি চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালাসী বাড়ির বাসিন্দা বদিউজ্জামানের ছেলে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার ভোর ৬টার দিকে বলি তার বড় বোন শাহনাজ আক্তার টুম্পার অসুস্থ মেয়েকে দেখতে যান। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে হাজীপুর ইউনিয়নের মান্দার বাড়ির দরজায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা ১৫–২০ জন কিশোর গ্যাং সদস্য তার ওপর হামলা চালায়। প্রথমে সিএনজির ভেতরেই তাকে কোপানো হয়। পরে রাস্তার ওপর ফেলে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহতের পরিবারের দাবি—পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে বলিকে হত্যা করা হয়েছে।
চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালেব ভিন্ন দাবি করেছেন। তিনি বলেন, সোমবার সকালে তার ছেলে মিজানুর রহমান ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাজারে যাওয়ার পথে মনতাজ স্যারের বাড়ির সামনে পৌঁছলে বলি ও তার সহযোগীরা তাকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয়রা সেখানে গিয়ে বলিকে গণপিটুনি দিলে সে মারা যায়। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন এবং বলির আড্ডাখানায় হামলা চালান।
নিহত ফখরুলের বাবা বদিউজ্জামান এসব অভিযোগ নাকচ করে বলেন, “পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
ওসি এম এ বারী বলেন, “হত্যা মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...