Logo Logo

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতা ও যৌন নিপীড়নে সাবেক শিক্ষার্থীদের গভীর উদ্বেগ


Splash Image

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণ, র‍্যাগিং ও ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে শিক্ষার্থীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারের দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা।


বিজ্ঞাপন


এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ধারাবাহিক অপরাধমূলক ঘটনার পরও প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত দুর্বল ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। সাবেক শিক্ষার্থীরা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সকল ঘটনার দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি জানান।

সাবেক শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচে কয়েকজন শিক্ষার্থীর হামলার শিকার হওয়া সেই শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়াতে কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা বা নিরাপত্তাকর্মী এগিয়ে না আসা নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভয়াবহ ব্যর্থতার উদাহরণ। তারা মনে করেন, এই উদাসীনতা প্রশাসনের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্যে বড় ধরনের ঘাটতির প্রমাণ।

এছাড়া গণধর্ষণ মামলার এক অভিযুক্তকে আড়াল করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক থানায় গিয়েছিলেন এমন অভিযোগও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। প্রক্টরের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও তা গুরুত্ব পায়নি বলে সাবেক শিক্ষার্থীরা দাবি করেন। তাদের মতে, এসব ঘটনায় প্রশাসনের প্রতি বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনাস্থা আরও গভীর হয়েছে।

বিবৃতিতে তিন দফা দাবি জানান সাবেক শিক্ষার্থীরা। প্রথমত, গণধর্ষণ, র‍্যাগিং ও শিক্ষার্থীর ওপর হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, দায়িত্বে গাফিলতি ও অভিযুক্তদের রক্ষায় জড়িত শিক্ষক–কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জরুরি তদন্ত ও কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। তৃতীয়ত, ক্যাম্পাসে স্থানীয় প্রভাবমুক্ত নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে এনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

সাবেক শিক্ষার্থীরা সতর্ক করে বলেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে উন্নয়ন ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই সম্পূর্ণ দায়ভার নিতে হবে।

এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন আসিফ আল আজাদ (আইন বিভাগ), আব্দুল্লাহ আল কাউসার মিলন (ফার্মেসি), সূর্য পলাশ (আইন), ফারুক আলম (ফার্মেসি), অনিক আহমেদ (ভেটেরিনারি), তানভীর আহমেদ (ভেটেরিনারি), নঈম উদ্দিন (আইন), মঞ্জুরুল মিঠু (আইন), হৃদয় সরকার (ইংরেজি), তানভীর আহমেদ (মাইক্রোবায়োলজি), রোকনুজ্জামান মনি (ইংরেজি), লিটন উজ্জ্বল সাহা (মাইক্রোবায়োলজি), প্রদীপ কুমার সূত্রধর (ফার্মেসি), পবিত্র কুমার শীল (ফার্মেসি), রেবেল ইসলাম (ফার্মেসি), শ্রাবস্তি সরকার (ফার্মেসি), সূচি ইসলাম (ইংরেজি), জ্যোতি দেবনাথ (সমাজবিজ্ঞান), পলাশ চন্দ্র (ফার্মেসি), ডা. শাওন সরকার জয় (ফিজিওথেরাপি), সজল সিংহ (ভাষা যোগাযোগ ও সংস্কৃতি), ধীরা ঢালি (ভাষা যোগাযোগ ও সংস্কৃতি), অনিক পাল (ভাষা যোগাযোগ ও সংস্কৃতি), ত্রপা বিশ্বাস (ফার্মেসি), সোহান রহমান (ভাষা যোগাযোগ ও সংস্কৃতি), কে এম সৈকত হোসেন (ফার্মেসি), টিটু সরকার (ফার্মেসি), সুধীর সরকার (ফার্মেসি), সিঁথি ইসলাম (ফার্মেসি), শর্মিলা ইসলাম (ফার্মেসি) সহ আরও অসংখ্য সাবেক শিক্ষার্থী, যারা বর্তমানে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...