বিজ্ঞাপন
অভিযানটির নেতৃত্ব দেন দুদকের গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হক। তার সঙ্গে ছিলেন উপপরিচালকের কার্যালয়ের সাগর কুমার সাহাসহ টিমের অন্যান্য সদস্যরা।
অভিযোগের মধ্যে ছিল- চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি, হাসপাতালের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, সেবার নিম্নমান, ওষুধ বিতরণে গরমিল, রোগীদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য করা।
অভিযানে হাসপাতালের রান্নাঘরে মেলে আরও চরম অনিয়ম। ৫০ জন রোগীর জন্য বরাদ্দ ৮ কেজি ২০০ গ্রাম মাছের বদলে পাওয়া যায় মাত্র ৫ কেজি। দেড় কেজি ডালের পরিবর্তে মজুদ ছিল মাত্র ৫০০ গ্রাম, দেড় লিটার তেলের স্থলে পাওয়া যায় মাত্র ৫০০ গ্রাম। কাগজে ৪০টি ডিম দেখালেও গুনে পাওয়া যায় ৩৪টি।
এছাড়া রোগীর বেডে সিট নম্বর না থাকা, রেজিস্টারে ওষুধ বিতরণের তথ্য গরমিল, এবং রোগীদের নির্ধারিত ওষুধ না দিয়ে বাইরে থেকে কিনতে বাধ্য করার অভিযোগও পাওয়া যায়। একজন রোগীকে ৮ ধরনের ওষুধ দেওয়ার কথা থাকলেও ৩ থেকে ৫টি ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুদকের গাজীপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হক জানান, অভিযানে পাওয়া অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে পাঠানো হবে, এবং পরবর্তী ধাপে কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...