Logo Logo

বিএনপির নেতার কাছে স্কুল ও এলাকার পরিস্থিতি তুলে ধরায় বিপাকে শিক্ষিকা


Splash Image

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ৬ নম্বর ঘাঘরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ঘিরে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ উত্থাপন করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তাপতী বাড়ৈ। তিনি দাবি করেছেন, ঘাঘরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নমীতা মণ্ডল এবং স্থানীয় কিছু ব্যক্তির স্বার্থান্বেষী কর্মকাণ্ডের কারণে বিদ্যালয় ও এলাকার শিক্ষা পরিবেশ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


সহকারী শিক্ষিকা তাপতী বাড়ৈ জানান, বিদ্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়গুলো তিনি গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া–কোটালীপাড়া) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এসএম জিলানী এবং স্থানীয় নেতাদের কাছে তুলে ধরলে প্রধান শিক্ষিকা নমীতা মণ্ডল ক্ষুব্ধ হন। এরপর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দেওয়া শুরু হয়।

তার অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা স্থানীয় “আমার দেশ” পত্রিকার কোটালীপাড়া প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান জুয়েল, কামরুল রানা ও আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইয়াসিন মোল্লার ভাতিজা শাহাদাত মোল্লাকে ব্যবহার করে তাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।

তাপতী বাড়ৈ বলেন, “বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষিকা নিজের ইচ্ছামতো পরিচালনা করেন। আইন-কানুন উপেক্ষা করে বিভিন্ন বরাদ্দ নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ঠেলে দেন। শিক্ষকদেরও আইন বহির্ভূত কাজে বাধ্য করতে চান।”

তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের পাশে তার নিজ বাসা থাকায় প্রতিষ্ঠানের প্রতি তার টান বেশি— আর এ কারণেই তাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।

সহকারী শিক্ষিকার ভাষ্যমতে, আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজা শাহাদাত মোল্লা প্রকাশ্যে তাকে হুমকি দেন— “আওয়ামী লীগের জায়গায় কেন বিএনপি নেতাদের কাছে অভিযোগ করছেন? আপনি কীভাবে এই বিদ্যালয়ে চাকরি করেন দেখে নেব।” মনিরুজ্জামান জুয়েল ও কামরুল রানার দিক থেকেও বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও নিউজ করে ক্ষতি করার হুমকি তিনি পেয়েছেন বলে দাবি করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে শাহাদাত মোল্লা বলেন, তারা স্কুলের মানোন্নয়নে এলাকার মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে বিভিন্ন দপ্তরে জমা দিয়েছেন। তাপতী বাড়ৈ কেন বিএনপি নেতাদের কাছে অভিযোগ করেছেন— তা তার কাছে বোধগম্য নয়। তবে বিদ্যালয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

প্রতিষ্ঠানের সমস্যা সম্পর্কে তেমন খোঁজখবর না রাখার পরও সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি থতমত খেয়ে কোনো জবাব দিতে পারেননি।

সহকারী শিক্ষিকা তাপতী বাড়ৈ সম্পর্কে সাবেক ইউপি সদস্য কাদের মোল্লা বলেন, “তাপতীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের কথা কখনো শুনিনি। স্বাক্ষর নেওয়ার সময় সে শুধু বলেছিল নতুন মুসলিম শিক্ষক আনা হবে।”

স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদা বেগম জানান, তাদের কাছে কম্বল দেওয়ার কথা বলে স্বাক্ষর নেওয়া হয়।

অপর এক বাসিন্দা এনায়েত মিয়া জানান, সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে বলে তার কাছ থেকেও স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...