বিজ্ঞাপন
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সহিংসতা, ধর্ষণ, র্যাগিং ও শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় উত্তাল। গত ২৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শের আলীকে মেস থেকে ডেকে এনে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এর আগে এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ ওঠে। পরে তাকে বিষাক্ত পানীয় পান করিয়ে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার ঘটনাও ঘটে।
পরিবার বারবার অভিযোগ জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দীর্ঘ সময় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। বরং ভুক্তভোগীকে হুমকি দেওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে।
গত ২ ডিসেম্বর ধর্ষণ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে চার শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হলেও প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও অভিযুক্তদের রক্ষার অভিযোগে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন।
এর মধ্যে ৭ ডিসেম্বর ধর্ষণ ও র্যাগিংবিরোধী আন্দোলনের এক সামনের সারির কর্মী নাসিম খান প্রশাসনিক ভবনের সামনে মারধরের শিকার হন। পরে চিকিৎসা নিতে গেলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও তার ওপর হামলার অভিযোগ করা হয়।
হামলার ঘটনার তিন দিন পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়।
এক যৌথ বিবৃতিতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন গুরুতর অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা ‘গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও হতাশাজনক’।
বিবৃতিতে অবিলম্বে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, আহত শিক্ষার্থী নাসিম খানের নিরাপত্তা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন নিপীড়নের ঘটনায় একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য ও লেখক ফিরোজ আহমেদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক নির্ণয় ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক শ্যামলী নীল, গবেষক পারস্য নাজিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা।
এছাড়াও বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন রাজনৈতিক কর্মী সৈকত আরিফ, ঢাকসুর সহ-ক্রীড়া সম্পাদক তামান্না মাহবুব, চলচ্চিত্র নির্মাতা হাবিবুর রহমান ও রাফসান আহমেদ, আলোকচিত্রী হিমু ভাই, সংগীতশিল্পী কৃষ্ণকলি ইসলাম ও সংগীতকর্মী অর্ক সুমনসহ আরও অনেকে।
এ তালিকায় রয়েছেন সাংবাদিক এম জে ফেরদৌস, রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবু নাসের অনীক, আইনজীবী এফ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, অধিকারকর্মী আফজাল হোসেন, ফটোসাংবাদিক জীবন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ, বাংলাদেশ যুব ফেডারেশনের আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...