বিজ্ঞাপন
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের পুরান বেড়ি এলাকায়। ভ্যানচালক মো. মালেকের বাড়িতেই তার স্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে বাদশা ফকির। স্বজন ও স্থানীয়রা রাতেই তাকে আটক করেন।
এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় গ্রামবাসী, ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একটি সালিশি বৈঠক আহ্বান করা হয়। তবে বাদশা উপস্থিত না হওয়ায় বৈঠক স্থগিত হয়ে যায়। স্থানীয় নেতৃত্ব এক সপ্তাহ পর পুনরায় সালিশ বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে একই ইউনিয়নে পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছিল জামায়াতের আরেক নেতার বিরুদ্ধে, যা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়। দুই মাস আগে রায়পুর ইউনিয়নের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইউনিয়ন জামায়াত নেতা আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল থানা পুলিশের কাছে।
স্থানীয় একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মঙ্গলবার রাতে মালেকের স্ত্রী ও বাদশা ফকিরকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতে–নাতে আটক করা হয়। পরে সালিশির মাধ্যমে সমাধানের কথা বলে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
মালেকের ভাই শিপন বলেন, “বাজার থেকে বাড়ি ফিরে দেখি আমার ভাবি আপত্তিকর অবস্থায় বাদশা ফকিরের সঙ্গে। আমার চিৎকারে এলাকাবাসী এসে তাকে আটক করে। এর আগেও তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্কের অভিযোগ ছিল—তখনও তারা ধরা পড়েছিল।”
গৃহবধূর স্বামী মালেক বলেন, “খবর পেয়ে বাজার থেকে এসে দেখি এলাকায় হট্টগোল। বাদশাকে তখন আটক অবস্থায় পাই। সন্ধ্যায় ডাকা সালিশ বৈঠকে তাকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল, কিন্তু সে আত্মগোপনে থাকায় স্থানীয় গণ্যমান্যরা আগামী বুধবার পুনরায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
এ বিষয়ে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির গাজী এমরান বলেন, “ওয়ার্ড সভাপতির সঙ্গে কথা বলে ঘটনা যাচাই করেছি। ঘটনাটি অনেকটাই অতিরঞ্জিত এবং দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারও চলছে। তবে বাদশা যুব বিভাগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক—এটি সত্য।”
প্রতিবেদক- মাহমুদ সানী, রায়পুর, লক্ষীপুর।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...