ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পূর্বঘোষিত নির্দেশনা মেনে সকাল ৮টা থেকেই পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন। সাড়ে ৯টার মধ্যে সকল পরীক্ষার্থীর প্রবেশ নিশ্চিত করার পর কেন্দ্রের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, স্বপ্নজয়ের লক্ষ্য নিয়ে শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রে ঢুকছেন, আর বাইরে অপেক্ষমাণ অভিভাবকদের চোখে-মুখে সন্তানের সাফল্যের প্রত্যাশা।
এবারের ভর্তি যুদ্ধ অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রতিযোগিতামূলক। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মিলিয়ে মোট ১৩ হাজার ৫১টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে এমবিবিএস কোর্সে ১১ হাজার ১০১টি এবং বিডিএস কোর্সে ১ হাজার ৯৫০টি আসন রয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিটি আসনের জন্য লড়ছেন প্রায় ৯ জন (৯ দশমিক ৪০ জন) ভর্তিচ্ছু। মোট আবেদনকারীদের মধ্যে ছাত্র ৪৯ হাজার ২৮ জন এবং ছাত্রী ৭৩ হাজার ৬০৪ জন, যা চিকিৎসা শিক্ষায় নারীদের অগ্রযাত্রার একটি ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরে। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ৫ হাজার ১০০টি এমবিবিএস এবং ৫৪৫টি বিডিএস আসন রয়েছে, বাকি ৭ হাজার ৪০৬টি আসন বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোর জন্য বরাদ্দ।
পরীক্ষা পদ্ধতির ক্ষেত্রে এবার কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। মানবিক গুণাবলি ও সহানুভূতিশীল চিকিৎসক তৈরির লক্ষ্যে সিলেবাসে ‘মানবিক গুণাবলি’ নামক নতুন একটি বিষয় যুক্ত করায় পরীক্ষার সময় ১৫ মিনিট বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ, ১ ঘণ্টার পরিবর্তে এবার পরীক্ষা চলবে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ধরে। এইচএসসি বা সমমানের সিলেবাস অনুযায়ী ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের মানবণ্টন করা হয়েছে—জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলি মূল্যায়ন ১৫। লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর ধরা হয়েছে ৪০। মেধা তালিকা তৈরিতে লিখিত পরীক্ষার নম্বরের সাথে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ-র ভিত্তিতে ১০০ নম্বর যোগ করে চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। উল্লেখ্য, প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে, তাই পরীক্ষার্থীদের সতর্কতার সাথে উত্তর দিতে হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...