Logo Logo

বরগুনায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মিথ্যা অপবাদে নৃশংস মারধর, অভিযুক্ত স্বামীর বড় ভাই


Splash Image


বিজ্ঞাপন


বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৬ নং কাজিরাবাদ ইউনিয়নে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে মিথ্যা অপবাদের ভিত্তিতে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বড় ভাই আবুল কালামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ রাতে, কাজিরাবাদ গ্রামের মো. ফোরকান মিয়ার বাড়িতে। ভুক্তভোগী আসমা বেগম জানান, অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি তার চাচা শ্বশুর আবু জাফর হাওলাদারকে ফোন করেন। স্বামী ফোরকানও তার চাচাকে বাড়িতে যেতে বলেন। আবু জাফর বাড়িতে এসে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিলেও রাত বেশি হওয়ায় সকালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় আসমার বড় ছেলে তার দাদুর মোবাইলে লুডু খেলার প্রস্তাব দিলে তারা খেলতে থাকেন। ঠিক সেই সময় আবুল কালাম, রাহাত, রাজু ও মসজিদের ইমামসহ কয়েকজন ঘরে ঢুকে তাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে আসমা ও আবু জাফরকে বেধড়ক মারধর করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, আসমার পেটে লাথি ও ঘুষি মারা হয়, ফলে তার অনাগত সন্তানের জীবন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্বামী মোহাম্মদ ফোরকান জানান, তিনি বাইরে থাকাকালে ঘটনাটি ঘটে এবং পরদিন জানতে পেরে তিনি স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার দাবি, কোনো অনৈতিক সম্পর্ক ছিল না; তার ভাইয়েরা পূর্বের শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এদিকে নির্যাতিত আবু জাফর হাওলাদার বলেন, আসমাকে তিনি মেয়ের মতো দেখেন এবং তার ভাতিজার অনুপস্থিতিতে নানা প্রয়োজনে তাকে সহায়তা করেন। মারধরের পর তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয় এবং ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হয়।

ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেন গ্রাম পুলিশ মো. খোকন মিয়া। তিনি জানান, অভিযুক্তরা স্বীকার করেছেন যে তারা কাউকে হাতে-নাতে ধরেননি, বরং সন্দেহের ভিত্তিতে হামলা করেছেন। খোকনের মতে, সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে এমন অভিযোগে অভিযুক্ত করা অযৌক্তিক এবং অভিযোগ থাকলে তা আইনগতভাবে সমাধান করা উচিত ছিল।

এ বিষয়ে মসজিদের ইমাম মাসুম বিল্লাহর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং ভুক্তভোগী পরিবার আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...