Logo Logo

তেঁতুলিয়ায় আলোপ্তগীন মুকুলের অফিস কক্ষে অনন্য এক সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড


Splash Image

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদে সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলোপ্তগীন মুকুল তার অফিস কক্ষে একটি সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছেন, যেখানে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে— “সেবার বিনিময়ে নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত অর্থ বা উপহার গ্রহণ করা হয় না।”


বিজ্ঞাপন


গত বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তার অফিস কক্ষে প্রবেশ করলে চোখে পড়ে এই ব্যতিক্রমধর্মী সাইনবোর্ড। অফিস কক্ষের দরজার সামনে এবং ভেতরে সাইনবোর্ডটি টাঙানো হয়েছে, যা সেবা গ্রহিতা ও কর্মকর্তা উভয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

জানা গেছে, সিনিয়র সহকারী সচিব (ওএসডি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে দেশব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদে ক্যাশলেস সেবা সিস্টেমের আওতায় অনলাইনে ২৫টি সেবা প্রদান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় তেঁতুলিয়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে বর্তমানে এই সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা শ্রী সন্দেব বাবু জানান, তিনি জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে এসেছেন এবং সরকারি নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত কোনো অর্থ দিতে হয়নি। প্রশাসনিক কর্মকর্তার কক্ষে টাঙানো সাইনবোর্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের লেখা তিনি আগে কোথাও দেখেননি। এতে সাধারণ মানুষ জানতে পারবে যে, সরকারি ফির অতিরিক্ত কোনো অর্থ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

অপর সেবা গ্রহিতা আব্দুস সালাম প্রশাসনিক কর্মকর্তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি সেবা নিতে এসে সরকারি ফির বাইরে কোনো অতিরিক্ত ফি দিতে হয়নি। এ ধরনের সাইনবোর্ড থাকলে সেবা গ্রহণে মানুষের আস্থা বাড়ে।

এ বিষয়ে ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলোপ্তগীন মুকুল বলেন, নিজের লোভ ও লালসাকে বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই তিনি এই সাইনবোর্ডটি টাঙিয়েছেন। অফিসে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে এটি তাকে মনে করিয়ে দেবে যে, সেবার বিনিময়ে অতিরিক্ত অর্থ, উৎকোচ কিংবা কোনো উপঢৌকন গ্রহণ করা যাবে না। একই সঙ্গে সেবা গ্রহিতারাও জানতে পারবেন যে, এখানে সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত কোনো অর্থ প্রয়োজন নেই।

তিনি আরও বলেন, যেখানে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন নেই, সেখানে দালাল চক্রেরও সুযোগ থাকে না। সেবা গ্রহিতা যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন এবং সবাই যেন নিশ্চিতভাবে জানতে পারেন যে, সরকারি ফি ছাড়া অন্য কোনো অর্থ বা উপহার গ্রহণ করা হয় না—এই লক্ষ্যেই তিনি এই অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেন, সাইনবোর্ডের এই বার্তা ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে ভবিষ্যতে সেবার বিনিময়ে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার যে কোনো প্রচেষ্টা রোধ করা সম্ভব হবে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...