Logo Logo

বিধি ভঙ্গ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়ায় এলাকাজুড়ে ক্ষোভ, পুনঃ নিয়োগের দাবি


Splash Image

সরকারি বিধি-বিধান উপেক্ষা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রদান, নিয়োগের বিনিময়ে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অযোগ্য ও অদক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে খুলনার পাইকগাছা উপজেলা জুড়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এসব অভিযোগ তুলে অবৈধভাবে দেওয়া নিয়োগ বাতিল করে পুনঃনিয়োগের দাবিতে পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রকাশ চন্দ্র সরকার। তিনি জানান, পাইকগাছার খড়িয়া নবারুণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর পাঁচটি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে একই বছরের ১৯ অক্টোবর খুলনা জেলা জজ আদালতে ১৮৪/২৩ নম্বর মামলা দায়ের করা হয়। মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও ২০২৪ সালের ২ জুন পদ সংখ্যা কমিয়ে তিনটি পদের জন্য পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

এরপর ২০২৪ সালের ২ জুলাই জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা শিক্ষা অফিস এবং জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়। মামলা ও লিখিত অভিযোগ চলমান থাকা অবস্থায় একই বছরের ৪ জুলাই নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ওই মাসের ১২ জুলাই ম্যানেজিং কমিটির একটি অংশকে অনুপস্থিত রেখে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোপনে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে।

অতি গোপনে অনুষ্ঠিত ওই নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ১৬ জুলাই মানববন্ধন, ঝাড়ু মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করেন। পরে এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় নিতাই চন্দ্র সরকারের ছেলে প্রকাশ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশনের আঞ্চলিক কার্যালয় খুলনা, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর ইমান উদ্দিনকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্ত শেষে দাখিল করা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নিয়োগ বিধি অনুযায়ী ফলাফল প্রকাশের পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগপত্র দেওয়ার নিয়ম থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাউকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর লিখিতভাবে তদন্ত কর্মকর্তাকে জানান যে, তারা কেউই নিয়োগপত্র পাননি, যা ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি জারি করা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নীতিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার প্রায় ১৪ মাস পর অতি গোপনে বিলুপ্ত ম্যানেজিং কমিটির একটি অংশকে ডেকে এনে, এডহক কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে পিছনের তারিখ দেখিয়ে নিয়োগপত্রে স্বাক্ষর করানো হয়। এছাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক চন্দ্র সরকার ও তার পরিবারের সদস্যরা ভারতের বাসিন্দা বলেও অভিযোগ উত্থাপন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলন থেকে বক্তারা অবিলম্বে অবৈধ পন্থায় দেওয়া সব নিয়োগ বাতিল করে স্বচ্ছ ও বিধি অনুযায়ী পুনঃনিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার জোর দাবি জানান।

প্রতিবেদক- মোঃ আসাদ ইসলাম, পাইকগাছা, খুলনা।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...