Logo Logo

গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতির বিরুদ্ধে সাভানা পার্ক কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন


Splash Image

গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মিকাইল শেখের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে সাভানা ইকো রিসোর্ট এন্ড ন্যাচারাল পার্ক কর্তৃপক্ষ।


বিজ্ঞাপন


আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামে ওই পার্কের অভ্যর্থণা কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্কের লীজ গ্রহীতা হীরক রায়। এ সময় পার্কের ব্যবসায়িক পার্টনার মুরসালিন হিমেল ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে হিরক রায় বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৫ টার দিকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মিকাইল শেখ আরো অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে নিয়ে আমাদের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান সাভানা পার্কে আসেন। টিকিট না কেটে হুমকি ধামকি দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে সুইমিং পুলে এসে সিকিউরিটি গার্ডের কাছে আমার ফোন নাম্বার চায়। সিকিউরিটি গার্ড নাম্বার দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি তাকে গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে পার্কের লিজ গ্রহীতা, ব্যবাসয়িক পার্টনার ও কর্মচারীদের হুমকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। সে সময় পার্কের দোকানের কর্মচারী ফয়সাল শেখ সুইমিং পুলে বাইক নিয়ে অবস্থান করছিল। তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করে সে কেন বাইক নিয়ে এখানে এসেছে? প্রতিউত্তরে ফয়সাল জানায় সে পার্কের দোকানের কর্মচারী। সে সেখান থেকে চলে আসতে গেলে তারা গতিরোধ করে গালিগালাজ করে এবং মারধোর করে। আর বলে- ‘তোর চেয়ারম্যান আর শেয়ারহোল্ডারদের ডাক, আমাকে চিনিস? আমাকে এখনই পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে। নাহলে পার্ক ভাংচুর করবো।

তারপর তারা একটি কটেজে (সিংগেল ৭ নং কক্ষ) অবস্থান করে। সেখানে বসে মাদকদ্রব্য সেবন করে ও কক্ষে থাকা টিভি আঘাত করে ভাংগে। এ অবস্থায় ফয়সাল তার স্বজন ও পার্কের ব্যবসায়ি পার্টনার মুরসালিন হিমেলকে ফোনে বিষয়টি জানায়। হিমেল তাৎক্ষনিকভাবে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়িতে স্বশরীরে গিয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে জানায়। তিনি সেখান থেকে পার্কে চলে আসেন।

ফয়সালের আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে পার্কের ভেতরে প্রবেশ করেন। মিকাইল ও তার সহযোগিরা কোথায় জানতে চায়। পার্কের ম্যানেজার ও কর্মচারীসহ ২ ব্যবসায়িক পার্টনার পার্কে আগতদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা পার্কের বাইরে চলে যান। তখন মিকাইল ও তার লোকজনকে কটেজ থেকে বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু তারা এটি অমান্য করে বহিরাগতদের কাছে গিয়ে তাদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন।

একপর্যায়ে উত্তেজিত বহিরাগতদের সাথে তাদের হাতাহাতি শুরু হয়। পার্কের কর্মচারী ও ব্যবসায়িক পার্টনাররা পরিস্থিতি সামাল দেন। মিকাইলকে দ্রুত সেখান থেকে পার্কের ভেতরে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসেন। মিকাইল তখন ফোন দিয়ে তার লোকজনকে পার্কে আসতে বলে। তার লোকজন পার্কে জোরপূর্বক প্রবেশ করেন। তখন পার্কে বিশৃংখল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তার কিছু সময় পর বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়ির গাড়ি পার্কে আসে। মিকাইল ও তার লোকজন পুলিশের সাথে দুর্ব্যাবহার করে। মিকাইল পার্ক থেকে বের হওয়ার সময় বলে- ‘এ নিয়ে কোনো মামলা করলে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবো।’ পার্কের সকল কর্মচারী ও বহিরাগত দর্শনার্থীরা ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেছেন।

ঘটনার পর থেকে আমার ফোনে নানা ভাবে বিভিন্ন জায়গা থেকে নামে-বেনামে আমার প্রাননাশ ও পার্কের ক্ষতিসাধন করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনার বর্ননা দিয়ে আমরা শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি জিডি করেছি।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আনিচুর রহমান বলেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মিকাইলের ওপর সাভানা পার্কে হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে মিকাইল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পার্ক কর্তৃপক্ষও থানায় একটি জিডি করেছে। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত ও আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা ।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...