বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইং সকাল আনুমানিক ১১টার সময় পূর্ব ধেছুয়াপালং এলাকায় মরহুম হাজী সিদ্দিক আহাম্মদের ছেলে অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিনের বড় ভাই জয়নাল আবেদীনের মালিকানাধীন জমিতে স্কুল নির্মাণের প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এজাহার ডাকাতের নেতৃত্বে ইয়াবা ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন, শাহাব উদ্দিনসহ ২০–৩০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ওই জমিতে টিনের ঘেরা বেড়া কেটে ভাঙচুর চালায় এবং নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়।
এ ঘটনায় জমির মালিক জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে ৯ জনকে অভিযুক্ত করে রামু থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। জয়নাল আবেদীন ও সাবেক মেম্বার অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন জানান, তারা প্রায় ৬০ বছর ধরে ভোগদখলীয় বসতভিটার জমিতে বসবাস করে আসছেন। ওই জমিতে বনজ ও ফলজ গাছ, বসতঘর এবং একটি পুরাতন কবরস্থানও রয়েছে। এলাকায় কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে পারিবারিক উদ্যোগে শিশুদের শিক্ষার কথা বিবেচনা করে স্কুল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু সন্ত্রাসীরা তাদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবি পূরণে অস্বীকৃতি জানালে বাড়ির ভিটার টিনের ঘেরা বেড়া কেটে ভাঙচুর চালানো হয়।
এলাকাবাসী জানান, জয়নাল আবেদীন ও সাবেক মেম্বার অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন এলাকার শিশুদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্কুল নির্মাণের প্রস্তুতি নিলে এজাহার ডাকাতের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে। তারা এই নেক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। যদিও পুলিশ এজাহার ডাকাতকে আটক করেছে, তবে ইয়াবা ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন, শাহাব উদ্দিনসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শেখ আবদু ছবুর সন্ত্রাসী এজাহার ডাকাতকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিবেদক- মোহাম্মদ শাহজাহান, রামু, কক্সবাজার।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...