বিজ্ঞাপন
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় হামলাকারী ও তাদের সহযোগীদের পুলিশ ইতোমধ্যে শনাক্ত করেছে। তাদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের চাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে।
প্রধান সন্দেহভাজন যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে লক্ষ্যে শুক্রবার রাতেই দেশের সব ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এতে দেখা গেছে, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন এবং সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর সফরের তথ্য পাওয়া গেছে।
এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালকে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছে।
হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা এবং আসন্ন নির্বাচন বানচালের অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগত উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তার দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে উসকানি ও নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগও তুলে ধরা হয়।
ভারত সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যেন তারা অনতিবিলম্বে তার এবং ভারতে পলাতক তার সহযোগীদের এসব ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
একই সঙ্গে শরিফ ওসমান হাদির হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তা প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। যদি তারা ভারতে প্রবেশে সক্ষম হয়, সেক্ষেত্রে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে তাদের দ্রুত আটক করে বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...