ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২১ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অব.)।
ওসমান হাদির মৃত্যুর পরবর্তী পরিস্থিতি ও সংবাদপত্রে হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, "সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এসব নাশকতায় মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো হাত নেই। একটি বিশেষ চক্র নির্বাচনকে নসাৎ করার উদ্দেশ্যে শহর এলাকায় পরিকল্পিত হামলা চালাচ্ছে।"
তিনি আরও জানান, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলার ঘটনাকে কমিশন ‘ভ্যান্ডালিজম’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে অন্তত ২০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র বাহিনীর প্রস্তুতি সম্পর্কে সানাউল্লাহ জানান, সারাদেশে মোট এক লাখ সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ সদস্য ইতিমধ্যে মাঠে রয়েছেন এবং বাকিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে মোতায়েন সম্পন্ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, "জেলা পর্যায়ে সমন্বয় সেলের মাধ্যমে সেনাবাহিনী, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটরা সমন্বিতভাবে কাজ করবেন। আজকের বৈঠকে কমান্ড ও কন্ট্রোল সংক্রান্ত টেকনিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।"
এর আগে বেলা ১২টায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী প্রধানদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে ইসি। পরবর্তীতে দুপুর আড়াইটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে নির্বাচন পূর্ব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যৌথ বাহিনীর কার্যক্রম ও আচরণবিধি প্রতিপালন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...