বিজ্ঞাপন
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার এসবি–১, এসবি–২, জিজিবি, এমসিবি এবং এমএমবি নামের পাঁচটি অবৈধ ইটভাটায় জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। অভিযানে ভাটাগুলোর চুল্লি, বিপুল পরিমাণ কাঁচা ইট ও অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়। তবে অভিযানের রেশ কাটতে না কাটতেই ভাটার মালিকরা পুনরায় অবকাঠামো মেরামত করে ইট পোড়ানোর কাজ শুরু করেছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
সবচেয়ে আশঙ্কাজনক বিষয় হলো, এই ভাটাগুলোর অবস্থান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একেবারে সন্নিকটে। কয়লার পরিবর্তে বনের কাঠ পুড়িয়ে ইট পোড়ানোর ফলে নির্গত কালো ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে উঠছে চারপাশ। এতে করে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ শ্বাসকষ্ট, চোখ জ্বালাপোড়া ও চর্মরোগসহ বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। বন উজাড়ের ফলে জীববৈচিত্র্যও চরম হুমকির মুখে।
পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (ঝালকাঠি শাখা)-এর সভাপতি অ্যাডভোকেট আককাস সিকদার এ বিষয়ে বলেন, “ঝালকাঠি জেলাজুড়ে প্রায় শতাধিক বৈধ-অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অথবা তাদের নজরদারি এড়িয়ে এসব ভাটায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এতে একদিকে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে, অন্যদিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অসুস্থ হয়ে পড়ছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. মমিন উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, জেলায় কোনোভাবেই অবৈধ ইটভাটা চলতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে আমরা অনেকগুলো ভাটা বন্ধ করেছি। যারা পুনরায় আইন ভঙ্গ করছে, তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট ও নিয়মিত মামলাসহ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও মাঠপর্যায়ে এর প্রতিফলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন নাগরিকরা। তাঁদের মতে, কার্যকর ও নিয়মিত নজরদারি না থাকলে এ ধরনের অভিযান কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকবে, আর জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতি চলতেই থাকবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...