Logo Logo

গোপালগঞ্জে আ. লীগের আরো ২৭ নেতাকর্মীর পদত্যাগ


Splash Image

গোপালগঞ্জে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও দলীয় পদ-পদবী থেকে পদত্যাগের হিড়িক অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, জেলার টুঙ্গিপাড়া ও মুকসুদপুর উপজেলায় পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ২৭ জন নেতা-কর্মী পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এবং মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সংশ্লিষ্ট উপজেলার প্রেসক্লাবগুলোতে উপস্থিত হয়ে তারা এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

টুঙ্গিপাড়ায় ৪ নেতার পদত্যাগ

মঙ্গলবার বিকেলে টুঙ্গিপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ করেন টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাজী আশরাফুল ইসলাম টিটো। তিনি জানান, ব্যবসায়িক ব্যস্ততা এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণে তার পক্ষে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। এমনকি তাকে কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছিল সেটিও তিনি আগে জানতেন না বলে দাবি করেন।

একই দিন দুপুরে টুঙ্গিপাড়া প্রেসক্লাবে অপর এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগ করেন পৌর আওয়ামী লীগের ৭ নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার শেখ, সহ-সভাপতি মো. ইলিয়াস শেখ (ইলি) এবং যুবলীগ সদস্য জাহিদুল ইসলাম। তারা জানান, ব্যক্তিগত কারণ ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে তারা স্বেচ্ছায় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। এদের মধ্যে ইলিয়াস শেখ ও জাহিদুল ইসলাম দাবি করেন, তারা না জানতেই তাদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

মুকসুদপুরে ২৩ নেতা-কর্মীর পদত্যাগ

মুকসুদপুর উপজেলার খান্দারপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২৩ জন নেতা-কর্মী দুই দফায় সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ করেছেন।

মঙ্গলবার সকালে মুকসুদপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ করেন ওই ইউনিয়নের ১৪ জন নেতা-কর্মী। তাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খন্দকার ইমাম হোসেন। পদত্যাগকারীরা হলেন— কাবুল শেখ, ইদ্রিস শেখ, হাফিজুর রহমান, বিকাশ সরকার, পটু লস্কর, নুর ইসলাম মোল্যা, মজিবুর রহমান চুন্নু, নাসির শেখ, মো. মহিউদ্দীন খন্দকার আলো, খন্দকার ইমাম হোসেন, নিরোদ বিশ্বাস, আজাদ শেখ ও রাসেল শেখ আদাড়ি।

এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় একই স্থানে সংবাদ সম্মেলন করে আরও ৯ জন নেতা পদত্যাগ করেন। মো. বিল্লাল শরীফের নেতৃত্বে পদত্যাগকারীরা হলেন— মন্টু চন্দ্র বিশ্বাস, মো. ইমারত শেখ, লিটন শেখ, বৃন্দাবন বিশ্বাস, দুলাল শেখ, মো. ইমারত খোন্দকার, মো. ইমরান হোসেন রাকিব, মোক্তার ফকির ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনগুলোতে পদত্যাগকারী নেতারা উল্লেখ করেন, ব্যক্তিগত সমস্যা ও পারিপার্শ্বিক কারণে তারা স্বেচ্ছায় আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি নিচ্ছেন। আজ থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের আর কোনো রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই বলেও তারা সাফ জানিয়ে দেন।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...