বিজ্ঞাপন
জেলার ৫টি উপজেলার গির্জাগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে ধোয়া-মোছা ও রঙ করার কাজ শেষ করে গির্জাগুলোকে নবরূপে সাজানো হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জার পাশাপাশি টানানো হয়েছে বড়দিনের তারা ও শুভেচ্ছা ব্যানার। আয়োজনের মধ্যে রয়েছে বিশেষ প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ, কেক কাটা, প্রীতিভোজ, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, গোপালগঞ্জের ৫টি উপজেলায় মোট ১৬৭টি গির্জা রয়েছে। এর মধ্যে কোটালীপাড়া উপজেলায় ১০০টি, মুকসুদপুর উপজেলায় ৩৬টি, সদর উপজেলায় ২১টি এবং কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৫টি করে গির্জা রয়েছে।
মুকসুদপুর উপজেলার বানিয়ারচর ক্যাথলিক গির্জার ফাদার ডেভিড ঘরামী জানান, ২৪ ডিসেম্বর রাত ৯টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বিশেষ প্রার্থনা ও কেক কাটার মাধ্যমে উৎসবের সূচনা হবে। ২৫ ডিসেম্বর সকালে পুনরায় প্রার্থনা এবং দুপুরে প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষের জন্য প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। বিকেলে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপিত হবে।
শহরের সেন্ট মথুরানাথ এজি চার্চের পালক সম্যুয়েল এস বালা বলেন, "গোপালগঞ্জ সম্প্রীতির জেলা। জেলা প্রশাসন ও পুলিশের আশ্বাস এবং সহযোগিতায় আমরা অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।"
বড়দিন নির্বিঘ্ন করতে জেলা পুলিশ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. হাবীবুল্লাহ জানান, বড় গির্জাগুলোতে স্থায়ী পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবং ছোট গির্জাগুলোতে সার্বক্ষণিক মোবাইল টিম টহল দেবে। ইতিমধ্যে উদযাপন কমিটির সাথে বৈঠক করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। কোনো ধরনের থ্রেট বা ঝুঁকি নেই বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আরিফ-উজ-জ্জামান জানিয়েছেন, উৎসব আনন্দঘন করতে প্রতিটি গির্জার জন্য ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলায় মোট ৮৩ টন ৫০০ কেজি চাল সরকারিভাবে বিতরণ করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বড়দিন উদযাপনে সব ধরনের লজিস্টিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ও স্থানীয়দের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে গোপালগঞ্জে একটি উৎসবমুখর বড়দিন উদযাপনের অপেক্ষায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...