বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ।
তাপস হালদারের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হরিদাস মজুমদার নয়ন জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তারা ৫-৭ জন একসঙ্গে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ইউএনও অফিসে যান। ইউএনও কার্যালয়ে প্রবেশের আগে কোটালীপাড়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার হাওলাদার সেখানে এসে পরিচিত হন এবং কিছু কথা বলে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পরই পুলিশ এসে তাপস হালদারকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, তাপস হালদার ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তবে গত ১৭ বছর ধরে তিনি কোনো রাজনৈতিক পদে সক্রিয় ছিলেন না। তাদের জানা মতে, তার নামে আগে কোনো মামলা ছিল না। স্থানীয়ভাবে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে এবং নির্বাচন করতে পারলে সেটি প্রমাণিত হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিয়াদ মাহামুদ জানান, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শহরের পশ্চিমপাড় এলাকা থেকে তাপস হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য এবং কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের কুমারকান্দি গ্রামের হরেকৃষ্ণ হালদারের ছেলে।
ওসি আরও জানান, পয়সারহাট–গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের কোটালীপাড়া উপজেলার ওয়াবদার হাট এলাকায় নাশকতা সৃষ্টির মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাপস হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবারই আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গোপালগঞ্জ রোডমার্চ ঠেকাতে পয়সারহাট–গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের ওয়াবদার হাট এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা গাছ ফেলে বিক্ষোভ করেন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি হয় এবং যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়।
এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) এ উত্তম কুমার সেন বাদী হয়ে ১৫৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও প্রায় ১ হাজার ৫শ’ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাদ্দাম হোসেন জানান, এ ঘটনায় তাপস হালদারকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে, তাপস হালদারের চিফ নির্বাচনী এজেন্ট হরিদাস মজুমদার বলেন, তারা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফরম সংগ্রহ করতে পারলে তা দাখিল করা হবে। তাপস হালদার কোটালীপাড়া আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...