বিজ্ঞাপন
জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, আজ বুধবার সকাল নয়টায় কলাপাড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ৫০ মিটারের নিচে নেমে আসায় বেলা বাড়লেও সূর্যের দেখা মিলছে না। আবহাওয়া অফিস আশঙ্কা করছে, আগামী কয়েক দিনে শীত ও কুয়াশার তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
কুয়াশার কারণে ভোরে ও সকালে যান চলাচল চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে দূরপাল্লার বাসসহ অভ্যন্তরীণ রুটের যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করতে দেখা গেছে। সময়মতো যানবাহন গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা হয় দিনমজুর আ. রহিমের সঙ্গে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, "কুয়াশার কারণে সূর্য দেখা যাচ্ছে না, শীতও পড়ছে প্রচুর। এই ঠান্ডায় কোনো কাজে যেতে পারছি না। দূরপাল্লার বাসগুলোও সময়মতো আসছে না। আমরা দিন আনি দিন খাই, কাজ না পেলে কী করে চলবো?"
তীব্র ঠান্ডার প্রভাবে এলাকায় শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা ধারণক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। শয্যা সংকটের কারণে অনেক রোগীকে হাসপাতালের মেঝে ও করিডরে শুয়ে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে।
মাঠে কাজ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। ঘন কুয়াশার কারণে রবি শস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা। অন্যদিকে, হাড়কাঁপানো শীতে কাজ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিকরা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...