বিজ্ঞাপন
ছবিতে দেখা যায়, সারি সারি খেজুর গাছের মাঝখানে এক গাছি নিপুণ হাতে গাছ কেটে হাঁড়ি বসাচ্ছেন। খেজুর গাছের কাণ্ডে দড়ি বেঁধে দক্ষতার সঙ্গে ওঠানামা করে তিনি সংগ্রহ করছেন রস। চারপাশে বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত, নীল আকাশ আর খেজুর গাছের সারি মিলেমিশে যেন গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে নতুন করে তুলে ধরছে।
স্থানীয়রা জানান, শীতকাল এলেই খেজুরের রস সংগ্রহ শুরু হয়। ভোররাতে গাছ কেটে হাঁড়ি ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এবং সকালবেলা সেই হাঁড়িতে জমে ওঠে সাদা, মিষ্টি খেজুরের রস। এই রস দিয়েই তৈরি হয় খাঁটি খেজুর গুড়, পাটালি এবং বাহারি পিঠা-পুলি—যা শীতকালীন গ্রামীণ খাবারের অন্যতম আকর্ষণ।
গাছি পেশার সঙ্গে জড়িতরা বলেন, আগের মতো খেজুর গাছ ও গাছির সংখ্যা এখন আর নেই। আধুনিকতার প্রভাব, বিকল্প পেশার সুযোগ এবং ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমের কারণে অনেকেই এ কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। তবুও কিছু পরিবার এখনও বংশপরম্পরায় এই ঐতিহ্যবাহী পেশা ধরে রেখেছেন।
আ: করিম নামের এক প্রবীণ বলেন, “খেজুরের রস শুধু খাবার নয়, এটা আমাদের শীতের সংস্কৃতি। সকালে রস খাওয়া, সন্ধ্যায় গুড়ের পিঠা—এসব আমাদের গ্রামজীবনের অংশ।”
খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরির এই ঐতিহ্য গ্রামবাংলার সংস্কৃতি, শ্রমজীবী মানুষের জীবনধারা এবং শীতের আনন্দকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরছে। সচেতন মহলের মতে, এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে খেজুর গাছ সংরক্ষণ ও গাছিদের প্রতি সহযোগিতা বাড়ানো প্রয়োজন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...