বিজ্ঞাপন
বিমানটিতে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত কতজন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বহু যাত্রীর প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিমানটি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। তবে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আহমেদাবাদের কাছাকাছি একটি ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় ভেঙে পড়ে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবি থেকে দেখা যায়, বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষে আগুন লেগেছে এবং আকাশে ঘন কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে।
দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি অবস্থান করা এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “একটা বিকট শব্দ শোনা যায়, এরপরই দেখি বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। মানুষ দৌড়াতে শুরু করে।”
টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সরাসরি সম্প্রচারে দেখা গেছে, দুর্ঘটনার পরপরই সেখানকার পরিস্থিতি কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সারি সারি অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ ও দমকল বাহিনী সেখানে পৌঁছায়। বহু আহত যাত্রীকে দ্রুত স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়।
আহমেদাবাদের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিছু যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার কারণ এখনো নির্ধারণ করা না গেলেও প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনো সমস্যা এর পেছনে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে জরুরি বৈঠক করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।