বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
এয়ার ইন্ডিয়ার এই ফ্লাইটে ২৩০ জন সাধারণ যাত্রী ও ১২ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। নিহতদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮।
আহমেদাবাদ সিটি পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক বার্তাসংস্থা এপিকে জানান, “বিমানটি যে এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে তা একটি আবাসিক এলাকা। এতে স্থানীয় বাসিন্দারাও হতাহত হয়ে থাকতে পারেন। ঘটনাস্থলের চিত্র দেখে মনে হচ্ছে, বিমানে থাকা কেউই বেঁচে নেই।”
বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, উড্ডয়নের পর বিমানটি কিছুটা দুলতে দুলতে এগোচ্ছে এবং কিছু সময় পরই নিচের দিকে নেমে আসে। এরপর এটি স্থানীয় একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ে, যেখানে আগুন লেগে যায় এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে।
বিমান চলাচল সংক্রান্ত এক বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক পাইলট ক্যাপ্টেন সৌরভ ভাটনাগর এনডিটিভিকে বলেন, “ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে, বিমানটির উড্ডয়ন স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু রানওয়ে ছাড়ার পরপরই সম্ভবত একাধিক পাখির আঘাতে দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়। ইঞ্জিনের শক্তি হারানোর কারণে বিমানটি আকাশে ভেসে থাকতে পারেনি।”
তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের পরিস্থিতিতে পাইলট সাধারণত ‘মে ডে’ সংকেত পাঠান, যা বোঝায় বিমানে জরুরি অবস্থা তৈরি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি একটি নিয়ন্ত্রিত ভঙ্গিতে নিচে নামার চেষ্টা করেছে। এতে বোঝা যায়, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পাইলট বিমানটিকে নিরাপদে নামানোর চেষ্টা করেছিলেন।”
স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মরদেহ বা আহত কেউ রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভারতের ইতিহাসে এটি সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম প্রাণঘাতী বিমান দুর্ঘটনা। সরকারিভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞ দল গঠন করেছে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...