ছবি: সংগৃহীত।।
বিজ্ঞাপন
দীর্ঘ আইপিএল ক্যারিয়ারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ব্যাটার এবি ডি ভিলিয়ার্স। মাঠে পারফরম্যান্সে ঝলক দেখিয়ে ভক্তদের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া এই ক্রিকেটার যদিও পুরো ক্যারিয়ারে আইপিএল ট্রফি ছুঁতে পারেননি। তবে ২০২৫ আইপিএলে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে বেঙ্গালুরুর প্রথম শিরোপা জয়ে আবেগে ভেসেছেন ডি ভিলিয়ার্সও। নিজেকে শিরোপা জয়ের অন্যতম অংশীদার বলেও মনে করেন তিনি।
তবে আইপিএলের শুরুতে অভিজ্ঞতা ছিল একেবারে ভিন্ন। ২০০৮ সালে আইপিএলের সূচনার সময় দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের (বর্তমানে দিল্লি ক্যাপিটালস) হয়ে তিন মৌসুম খেলেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন এই সাবেক প্রোটিয়া তারকা। তিনি বলেন, ‘দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ছিল কসাইখানা। সেখানে আমি কিছু ক্যান্সারাস এবং পয়জনাস মানুষের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি।’ যদিও নির্দিষ্ট করে কাউকে নাম বলেননি তিনি, তবে তার বক্তব্যে স্পষ্ট—তৎকালীন দলের পরিবেশ ছিল বিষাক্ত এবং মানসিকভাবে ভীষণ চাপে রাখত।
তবে ওই দলের সবাই যে খারাপ ছিলেন তা নয়। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘দিল্লির সেই দলে যেমন দূষিত মানুষ ছিল, তেমনি কিংবদন্তি ক্রিকেটারও ছিলেন। আমি গ্লেন ম্যাকগ্রা ও ড্যানিয়েল ভেট্টোরির মতো তারকাদের পাশে খেলেছি। একবার ম্যাকগ্রা আমাকে বলেছিলেন, “তোমার খেলার ধরন আমার ভালো লাগে”। তখন আমার মনে হয়েছিল—আমি স্বপ্ন দেখছি কি না!’
এরপর ২০১১ সালে ডি ভিলিয়ার্স বেঙ্গালুরুতে যোগ দেন। পরবর্তী এক দশকে দলের শিরোপা না এলেও, নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে তিনি হয়ে উঠেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির আইকন। ২০২১ সালে অবসরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আরসিবির হয়ে ১৫৬টি ম্যাচ খেলেন তিনি। অবশেষে ২০২৫ সালে যখন কোহলির দল প্রথমবারের মতো আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়, তখন কোহলির কণ্ঠেও ঝরে পড়ে এই কিংবদন্তি সতীর্থের জন্য ভালোবাসা। কোহলি বলেন, ‘এই শিরোপার দাবিদার এবিও।’
তিন মৌসুমে দিল্লির হয়ে মাত্র ২৮টি ম্যাচ খেলা এবি ডি ভিলিয়ার্স সেই অধ্যায়কে মনে রাখলেও তিক্ততা ভুলতে পারেননি। আবার বেঙ্গালুরুর হয়ে দীর্ঘ সময়ের বন্ধন ও ভালোবাসার ছোঁয়া তাকে আজও আবেগে ভাসায়। একটি শিরোপার স্বাদ না পেলেও, এই ট্রফির ভাগীদার হিসেবে নিজেকে গর্বের সঙ্গে তুলে ধরেন এই কিংবদন্তি ব্যাটার।