বিজ্ঞাপন
সেই সঙ্গে গভীর সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে যান চারজনই।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে স্থানীয়দের সহায়তায় আহত জেলেদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসকরা জানান, ভাগ্যক্রমে সবাই প্রাণে বেঁচে গেছেন এবং বর্তমানে তারা শঙ্কামুক্ত।
আহত জেলেরা হলেন – আলকাচ মাঝি (২৫), খায়রুল ইসলাম (২৫), রাসেল (২৭) ও শামিম হাসান (৩৫)। তারা সবাই কুয়াকাটা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
ট্রলারের মাঝি আলকাচ জানান, হঠাৎ ঝড়ে তাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। তিনি নিজে ভেসে থাকা অবস্থায় একটি অন্য ট্রলারে উঠতে সক্ষম হন। বাকি তিনজন একটি ফ্লুট ধরে ১৮ ঘণ্টা সমুদ্রে ভেসে থাকার পর 'তুফানিয়া' নামক এক চরে গিয়ে আশ্রয় নেন।
আহত জেলে শামিম বলেন, “ঝড়ের পর মনে হচ্ছিল আর ফিরে আসতে পারব না। কিন্তু আল্লাহর রহমতে বয়া ধরে ভেসে থাকতে পেরেছি, এখন বুঝতে পারছি কুয়াকাটা হাসপাতালে আছি।”
কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ হোসেন জানান, “তাদের শরীরে সামান্য জখম ও ক্লান্তি ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তারা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।”
এদিকে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, “এ ধরনের কোনো ঘটনার বিষয়ে আমাদের কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। তবে বর্তমানে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে, জেলেদের সতর্কভাবে চলাচল করতে বলা হয়েছে।”
এ ঘটনায় স্থানীয় জেলে সমাজ ও এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা পর জীবিত ফিরে আসাকে কেউ কেউ অলৌকিক ঘটনা হিসেবেও দেখছেন।
-জাকারিয়া জাহিদ, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...