চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন। ছবি : সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
ফ্রান্সভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, গত কয়েক দিন ধরে ইরান-ইসরায়েল সীমান্তে যে সংঘাত চলছে, তাতে চীনের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বলেন, “আগুন উসকে দেওয়া, ঘি ঢালা, হুমকি দেওয়া এবং চাপ সৃষ্টি করা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবে না, বরং কেবল সংঘাতকে আরও তীব্র ও বিস্তৃত করবে।”
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ইরানের সাধারণ জনগণকে ‘অবিলম্বে সরে যেতে’ সতর্ক করেন। এতে করে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় বলে মন্তব্য করছে বেইজিং।
চীনা মুখপাত্র আরও বলেন, “ইসরায়েলের ওপর যেসব দেশের বিশেষ প্রভাব রয়েছে, চীন তাদেরকে পরিস্থিতি অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছে। তাদের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে উত্তেজনা কমানো ও এই সংঘাতকে আরও ছড়িয়ে পড়া থেকে প্রতিহত করা।”
চীন শুধু বক্তব্য দিয়েই থেমে থাকেনি। সংঘাত ঘনীভূত হওয়ায় চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় ইসরায়েল ত্যাগের নির্দেশনা দিয়েছে দেশটির দূতাবাস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইসরায়েলে অবস্থিত চীনের (কূটনীতিক) মিশন দেশটির নাগরিকদের অবিলম্বে স্থল সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে ইসরায়েল ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি মনে করিয়ে দিচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে পূর্বশর্ত হলো, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তবেই দেশত্যাগ করা উচিত।”
উল্লেখযোগ্য যে, দীর্ঘদিনের বৈরিতা ও কূটনৈতিক উত্তেজনার ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার ইরানের সামরিক ও পরমাণু স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। তেলআভিভ সরকারের দাবি, ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, সে উদ্দেশ্যেই হামলার এই সিদ্ধান্ত।
অন্যদিকে তেহরান বারবার দাবি করে আসছে, তাদের পরমাণু প্রকল্প কেবল শান্তিপূর্ণ কার্যক্রমের জন্যই ব্যবহৃত হচ্ছে।
টানা পাঁচ দিন ধরে চলমান এই সংঘাতে দুই পক্ষের মধ্যে বড় পরিসরের লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এতে করে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যুদ্ধটি মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই চীনের সরাসরি অবস্থান এবং ইসরায়েল থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নতুন করে কূটনৈতিক গুরুত্ব পেয়েছে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...