ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের ভাষ্য অনুযায়ী, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা বৃদ্ধির ফলে আন্তর্জাতিক মনোযোগ অন্যদিকে সরে যাওয়ায় গাজাবাসীদের দুঃখ-দুর্দশা আরও বেড়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নিহতদের মধ্যে অন্তত ৪০ জন আজ বুধবার সকালে বিমান হামলা ও গুলিতে প্রাণ হারান। হামলার শিকার হচ্ছেন সেই সব সাধারণ মানুষ, যারা প্রতিদিন খাদ্য ও চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সহায়তা চাইতে আসেন।
মেডিকেল সূত্রে জানা গেছে, গাজা শহরের জেইতুন পাড়া, মাগাজি শরণার্থী শিবির ও মধ্য এবং উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে চালানো পৃথক হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকার একটি শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু ঘটে।
গাজার মধ্যাঞ্চলে সালাহউদ্দিন সড়কে জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ট্রাকের জন্য অপেক্ষারত বাস্তুচ্যুত মানুষদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের ঘটনায় আরও ১৪ জন প্রাণ হারান বলে নিশ্চিত করে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, খাদ্যের জন্য অপেক্ষায় থাকা মানুষের মৃত্যু নিয়ে তারা 'তদন্ত করছে'। যদিও পূর্বেও এ ধরনের বহু ঘটনার তদন্তের ঘোষণা দেওয়া হলেও বাস্তবে কার্যকর কোনো ফলাফল দেখা যায়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে, চলতি বছরের মে মাসের শেষদিক থেকে এখন পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা সংগ্রহের সময় অন্তত ৩৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তিন হাজারেরও বেশি।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...