বিজ্ঞাপন
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের দুটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, সেনা ও সামরিক সরঞ্জামের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, যদি ইরান হামলা চালায়, তবে কাতার ও বাহরাইনে অবস্থানরত মার্কিন যুদ্ধযানগুলো বড় ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। এ কারণেই সতর্কতামূলকভাবে কাতার থেকে যুদ্ধবিমান এবং বাহরাইনের একটি বন্দর থেকে নৌবাহিনীর জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে কী পরিমাণ যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ সরানো হয়েছে কিংবা তারা কোথায় স্থানান্তরিত হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তারা।
সূত্র জানায়, যেসব যুদ্ধবিমান শক্ত সুরক্ষা বেষ্টনীর বাইরে ছিল, সেগুলো কাতারের আল উদেইদ বিমানঘাঁটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই ঘাঁটিটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি, যা কাতারের রাজধানী দোহার উপকণ্ঠে মরুভূমিতে অবস্থিত। একইসঙ্গে বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর পঞ্চম বহরের একটি জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার কাতারস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে এক নির্দেশনায় দূতাবাস কর্মীদের সাময়িকভাবে আল উদেইদ ঘাঁটিতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং মার্কিন নাগরিকদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এমন সময় এই পদক্ষেপ নিচ্ছে, যখন ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ চরম উত্তেজনার দিকে ধাবিত হচ্ছে। গত শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে বিমান হামলা চালানোর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সংঘাত শুরু হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে সামরিক হামলার ইঙ্গিত দিয়ে পুরো বিশ্বকে অনিশ্চয়তার মধ্যে রেখেছেন।
এই পরিস্থিতিতে ইরান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সরাসরি সহযোগিতা করে, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের সব মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হবে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...