ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২১ জুন) সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধের ফলে ব্যাপক যানজট ও দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে কর্মস্থলগামী যাত্রীরা।
ঘটনাস্থল থেকে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা নতুন বাজার এলাকার ভাটারা থানার সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে রামপুরা থেকে কুড়িল বিশ্বরোডগামী যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেন। ফলে শত শত যাত্রী হেঁটে গন্তব্যে রওনা দিতে বাধ্য হন। বিশেষ করে গরম ও ভিড়ের মধ্যে পরিবার নিয়ে চলাচল করা মানুষদের দুর্ভোগ চরমে ওঠে।
বাড্ডা থেকে উত্তরা যাওয়ার পথে ভোগান্তিতে পড়েন মোহাম্মদ আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, “স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পারিবারিক গুরুত্বপূর্ণ কাজে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বাঁশতলায় এসে গাড়ি থেমে যায়, নেমে যেতে বাধ্য হই। এখন সব ফেলে বাসায় ফিরতে হচ্ছে।”
একই ভোগান্তির কথা জানালেন রামপুরাগামী যাত্রী রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “সব কিছু বন্ধ, এখন হেঁটেই যেতে হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে উঠেছি। আন্দোলনকারীরা কী চায় জানি না, কিন্তু তারা যে আমাদের কতটা কষ্টে ফেলে সেটা বোঝে না।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল হাসান বলেন, “আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন আছে। আন্দোলনকারীরা থানার সামনেই অবস্থান নিয়েছে।”
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা কোনো অবস্থাতেই আন্দোলন স্থগিত করবেন না যতক্ষণ না তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়। তাদের অভিযোগ, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়েছে এবং একটি পক্ষকে সুবিধা দিতে তাদের দমন করার চেষ্টা করছে।
তবে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, পরিস্থিতি শান্ত রাখার উদ্দেশ্যে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
এর আগে শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। কিছু শিক্ষার্থীকে রাস্তা থেকে নামাতে সক্ষম হলেও, তারা পুনরায় সড়কে উঠে এসে সড়ক অবরোধ পুনঃস্থাপন করেন।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন এবং এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...