ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহান—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় “ব্যাপক নির্ভুল হামলা” চালানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। তার ভাষায়, “আমাদের লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা ধ্বংস করা এবং বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাস-সমর্থক রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আসা পারমাণবিক হুমকির অবসান ঘটানো।”
এই হামলাকে তিনি “অসাধারণ সফল একটি সামরিক অভিযান” হিসেবে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, ইরান যদি শান্তির পথে না আসে, তবে ভবিষ্যতের হামলা হবে আরও বড়, আরও সহজ।
ট্রাম্প বলেন, “ইরানের মূল পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে দাপট দেখানো এই রাষ্ট্রকে এখন শান্তির পথেই আসতে হবে।”
ভাষণের এক পর্যায়ে ট্রাম্প অতীতের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “গত ৪০ বছর ধরে ইরান বলে আসছে—‘আমেরিকার মৃত্যু হোক, ইসরায়েলের মৃত্যু হোক’। তারা হাজার হাজার আমেরিকানসহ বহু মানুষ হত্যা করেছে এই অঞ্চলে।”
তিনি ২০২০ সালে নিহত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানির কথাও উল্লেখ করেন। ট্রাম্প জানান, “আমি অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এটা আর চলতে দেওয়া যাবে না। এবং সেটা আর চলবে না।”
এ সময় তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান এবং এই অভিযানে ইসরায়েলি ও মার্কিন সেনাবাহিনীর সম্মিলিত ভূমিকার প্রশংসা করেন। ট্রাম্প বলেন, “আমরা দল হিসেবে কাজ করেছি—হয়তো এরকম সহযোগিতা অতীতে কখনো দেখা যায়নি। আমরা ইসরায়েলের জন্য ভয়ঙ্কর হুমকি একদম মুছে দেওয়ার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছি।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের সামরিক অভিযানে আর মার্কিন সেনাদের প্রয়োজন হবে না।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...