গ্রাফিক্স : ভোরের বাণী।
বিজ্ঞাপন
পাশাপাশি এই ‘আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পূর্ণ অধিকার রয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটি।
তাসনিম বার্তা সংস্থার বরাতে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিশ্বকে ভুলে গেলে চলবে না যে, কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মাঝপথে যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং ইসরায়েলের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিয়ে এখন ইরানের বিরুদ্ধে বিপজ্জনক যুদ্ধ চালাচ্ছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এটি স্পষ্ট যে যুক্তরাষ্ট্র কোনো নিয়ম বা নৈতিকতা মানে না। গণহত্যাকারী ও দখলদার এক শাসন ব্যবস্থার লক্ষ্য পূরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কোনো আইন বা অপরাধের তোয়াক্কা করে না।”
তেহরান বলছে, এই হামলা শুধু আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করাই নয়, বরং এটি মধ্যপ্রাচ্যে এক অস্থিতিশীল ও বিপজ্জনক পরিণতির ইঙ্গিত বহন করছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, “ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক আগ্রাসন ও এই দুষ্কৃতিকারী শাসনের অপরাধের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধের অধিকার সংরক্ষণ করে। প্রজাতন্ত্র ইরানের নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় বদ্ধপরিকর।”
এদিকে, এই ঘটনার পরপরই ইরানের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ দেখা যায় এবং দেশটির রাজনৈতিক ও সামরিক নেতারা কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক মহল এখন পরিস্থিতির ওপর গভীর নজর রাখছে, কারণ এর জেরে মধ্যপ্রাচ্যে আরও এক বিপজ্জনক সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।