ছবি. সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরান থেকে ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা হয়। এর পরপরই তেল আবিবে বিমান হামলার সাইরেন বাজতে শুরু করে এবং জেরুজালেমের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে এবং নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানায়, “বর্তমান হুমকির মুখে আমাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং সক্রিয় রয়েছে।”
এর আগে শনিবার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানান, যুক্তরাষ্ট্র সফলভাবে ইরানের তিনটি পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে এবং তার ভাষায়, ‘এসব স্থাপনা সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, “এখন হয় শান্তি আসবে, নয়তো আরও ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে। এখনও অনেক লক্ষ্যবস্তু বাকি রয়েছে।”
তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা হামলার ব্যাপারে ভিন্ন তথ্য দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোতে কোনো তেজস্ক্রিয় উপাদান ছিল না এবং পারমাণবিক নিরাপত্তা বজায় রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই পরাশক্তির এমন সংঘাত গোটা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে এবং নতুন করে বড় পরিসরে যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।