বরগুনার আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন সেচ্ছাসেবক লীগের উপজেলা সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অপকৌশলের অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য ফিরোজ খান তাপস।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৯ জুন, যখন মিঠু মৃধা ইউনিয়ন পরিষদের অফিসিয়াল প্যাডে সই করে আমতলী সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-০২ ফিরোজ খান তাপসকে দায়িত্ব অর্পণ করেন। তিনি তার শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে ১৯ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব প্রদান করেন বলে জানান।
তবে দায়িত্ব হস্তান্তরের পরপরই মিঠু মৃধা অভিযোগ করেন, তাঁর কাছ থেকে জোর করে দায়িত্ব ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান ফিরোজ খান তাপস বলেন, “আমি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক এবং সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি। আমি বিএনপি পরিবারের একজন সক্রিয় কর্মী। আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট চেয়ারম্যান মিঠু মৃধা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে এবং বিএনপিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন।”
তিনি আরও দাবি করেন, “চেয়ারম্যান নিজেই সচিবের উপস্থিতিতে স্বেচ্ছায় আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন এবং ইউনিয়নের ৯ জন সদস্য একসাথে রেজুলেশন করে আমাকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেন। এটি কোনো ষড়যন্ত্র নয় বরং নিয়ম মেনেই হয়েছে। এখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালিয়ে জনমনে ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে।”
এদিকে স্থানীয়দের দাবি, চেয়ারম্যান মিঠু মৃধার বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—টাকা নিয়ে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট প্রদান, টিআর/কাবিখার বরাদ্দ আত্মসাৎ, জেলে কার্ডের চাল আত্মসাৎ, এবং শালিসে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ।
এই বিষয়ে মিঠু মৃধার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি মিডিয়ার সামনে কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষমতা ধরে রাখার প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হচ্ছে। আর সেই প্রতিযোগিতারই একটি বহিঃপ্রকাশ হতে পারে এই ঘটনাটি।
-বরগুনা প্রতিনিধি